এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার বিরল কৃতিত্ব গড়েছে লক্ষ্মীপুরের দুই শিশু। তাদের একজন ইয়াছিন (৮) মাত্র ৫ মাসে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। অপরজন ইশতিয়াক (১০) হাফেজ হয়েছে ১০ মাসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর ফালাহিয়া হিফজ মাদ্রাসার ছাত্র মো. ইয়াছিন আরাফাত ও হাবিবুর রহমান ইশতিয়াক। তাদের এমন কৃতিত্বে খুশি অভিভাবক ও এলাকাবাসীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ইয়াছিন আরাফাত লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সৌদি প্রবাসী মো. দুলাল হোসেনের ছেলে। ছোট থেকেই হাফেজ হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। যে কারণে মায়ের কাছে বায়না ধরে ২০২০ সালে মাদ্রাসায় ভর্তি হয় শিশুটি।
২০২৩ সালের শুরুতে পবিত্র কোরআন সবক নেয় ইয়াছিন। যার সুফল মিলে পাঁচ মাসের মধ্যেই। ইয়াছিনের সাফল্যে খুশি তার মা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, অভাব-অনটনের সংসারে আল্লাহ তার ছেলেকে হাফেজ হিসেবে কবুল করেছেন।
এদিকে হাফেজ ইয়াছিন জানায়, আগ্রহের জায়গা থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে হাফেজ হতে পেরেছি। মহান আল্লাহ, শিক্ষক ও পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলেম হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি।
১০ মাসে হাফেজ হওয়া হাবিবুর রহমান ইশতিয়াক লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে। দুই ভাই একই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি হলেও বড় ভাইয়ের আগে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে ইশতিয়াক।
এদিকে মাদ্রাসার হিফজ শাখার প্রধান শিক্ষক ক্বারী আব্দুর রহমান ও ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা হেলাল উদ্দিন বলেন, বেশ শান্ত স্বভাবের ইয়াছিন ও ইশতিয়াক। শিক্ষকদের দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করেছে শতভাগ। প্রবল ইচ্ছা আর আকাঙ্ক্ষায় দ্রুত সময়ে তারা হাফেজ হতে পেরেছে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের হোছাইন বলেন, দ্রুত সময়ে হাফেজ হওয়া এই দুই ক্ষুদে শিক্ষার্থী পুরো জাতীর গর্ব।